রাঙামাটি প্রতিনিধি
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় পৃথক ঘটনায় বজ্রপাতে এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন এবং পানিতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছেন একজন । আহত তিনজন লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) বিকালে উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নে এবং কাপ্তাই হ্রদে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- রিনা বেগম (৩৬), বাচ্চু মিয়া (৩০), জিয়াউল হক (৪০) ও ওবায়দুল (৩০)।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের একজন ও কাপ্তাই হ্রদে বোট চলমান অবস্থায় বজ্রপাতে তিনজন নিহত হন। এদিন উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি চেয়ারম্যান টিলার ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৬) বজ্রপাত নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে,কাপ্তাই হ্রদে উপজেলার মাইনীমুখ বাজার থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে ভাসান্যাদম ইউনিয়নের শেখ পাড়া এলাকায় যাওয়ার পথে মিনা বাজার নামক স্থানে বজ্রপাতে তিনজন নিহত হন এবং পানিতে ডুবে একজন নিখোঁজ আছেন।
আটরকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আল আমিন বলেন, আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি চেয়ারম্যান টিলার ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৬) কিছুক্ষণ পূর্বে নিজ বসতঘরে বজ্রপাত নিহত হয়েছেন।
ভাসান্যদম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, মাইনীমুখ থেকে মিনা বাজার যাওয়ার পথে বজ্রপাতে তিনজন নিহত হন এবং একজন পানিতে ডুবে নিখোঁজ আছেন।
এবিষয়ে লংগদু থানার ওসি হারুনুর রশিদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একই দিনে ভাসান্যাদম ও আটারকছড়া ইউনিয়নের পৃথক ঘটনায় বজ্রপাতে ৪জনের মৃত্যু হয় এবং ১জন নিখোঁজ রয়েছে। থানায় এবিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লংগদু উপজেলার চেয়ারম্যান বাবুল দাশ বাবু জানান, বজ্রপাতের খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকার মাঝির মরদেহ উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই দিনে লংগদু সদর ইউনিয়নের ভাইবোন ছড়া এলাকায় বজ্রপাত ও ধমকা হাওয়ার ফলে ২টি গরু মারা গেছে এবং বসতঘরে গাছ পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।