নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ খানকে বাসায় ঢুকে গুলি করে আহত করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ খানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান বাদী হয়ে পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শিবপুর মডেল থানায় এই মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে মো: মহসিন মিয়া (৪২), পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার সুরুজ মোল্লার ছেলে ইরান মোল্লা (৩০), মুনসেফেরচর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাকিল (৩৫), কামারগাঁও এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩২) ও নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকার ড্রাইভার নূর মোহাম্মদ (৪৮)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামীরা এলাকার একটি মসজিদের অনুদান নিতে এসেছেন জানিয়ে ফোন করে চেয়ারম্যানকে দরজা খুলতে বলেন। পরে তারা চেয়ারম্যানের বাসায় ঢুকেন। এসময় চেয়ারম্যান তাদের বসতে বলে আপ্যায়নের জন্য পাশের কক্ষের দিকে ঘুরলে পেছন থেকে ৩ জন গুলি করেন। এতে চেয়ারম্যান পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়লে আসামীরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ রয়েছে। দ্রুতই গুলির প্রকৃত কারণ জানা ও জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য নিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা সদরে শিবপুর মডেল থানার পূর্ব পাশে বাজার সড়কের নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ খান। তিনজন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে তাকে পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ আহত হারুন অর রশিদ খানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার সফল অস্ত্রপাচারের মধ্যদিয়ে পিঠ থেকে দুটি গুলি বের করে নিয়ে আসে। অপর একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সেটি তার শরীরে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে হারুন অর রশিদ খান চিকিৎসাধীন রয়েছেন।