নিজস্ব প্রতিবেদক
আসছে মহিষাশুরা ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন জুড়ে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ইউনিয়নবাসী তরুণ, মেধাবী, সৎ, দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। এমন একজন ব্যক্তির পক্ষেই তাদের রায় দিবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইউনিয়নবাসী। মহিষাশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিন তেমনি একজন ব্যক্তি।সাবেক সফল চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিন একজন ক্লিন ইমেজের সজ্জন ব্যক্তি হওয়ায় আগামীতে আবারো চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই দেখতে চান এলাকাবাসী।
মহিষাশুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি ও সফল ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিন সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মোঃ ইউনুছ আলী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন । তাছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধের দক্ষ সংগঠক ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া এমপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।
তার মা মোসাঃ মরিয়ম আক্তার আয়েশা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। তার স্ত্রী সাহেবরা আক্তার জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক অসহায়, দরিদ্র ও মেহনতি মানুষের সেবায় করোনা যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৮ মে ২০২০ইং সালে ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি বিগত ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে মহিষাশুরা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে জনগণের আস্থা, ভালোবাসা এবং বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্র জীবন থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে গনতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী ঘরাণার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।
তিনি নরসিংদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত জাহাঙ্গীর- সনেট-মামুন পরিষদের সহনাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯০-৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
তাছাড়া ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৩ নং ওয়ার্ড মহিষাশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এবং ২০০১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ১৩ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি মাধবদী থানা আওয়ামী লীগ ও মহিষাশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শুধু চেয়ারম্যান হিসেবে নয় আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ঠ ও নিবেদিত কর্মী হিসেবে এলাকার রাস্তা ঘাট, ব্রিজ- কালভার্ট নির্মাণ স্কুল ও মাদ্রাসা সংস্কার সহ এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে ।
ইউনিয়নবাসীর দু:সময়ের বন্ধু হিসেবে তাদের বিপদে এগিয়ে এসে নিজের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবসময়। দলমত নির্বিশেষে তিনি সকলের কাছে একজন প্রিয় ও গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ভোটারদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় রয়েছেন।
বিগত করোনা পরিস্থিতিতে তিনি তার স্ত্রিকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার অসহায় কর্মহীন মানুষদের পাশে দাড়িয়ে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। সরকারী সহযোগিতা ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে তিনি এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার উন্নয়নে নিজের হাতকে প্রসারিত রেখেছেন।
এলাকাবাসীর ইচ্ছা ও মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে এবার ও তিনি মহিষাশুরা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী । এলাকাবাসী মনে করেন মহিষাশুরা ইউনিয়নের সফল চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিনের সততা, নিষ্ঠা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দলের প্রতি তার আনুগত্য এবং দলের দীর্ঘদিনের লড়াই সংগ্রামের একজন একনিষ্ঠ ও পরিক্ষীত কর্মী হিসেবে দলীয় হাইকমান্ড মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার হাতেই আবার নৌকা তুলে দিবেন।
এব্যাপারে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ এনামুল হক শাহিন বলেন, মহিষাশুরা ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমার বিগত দিনের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে এলাকাবাসী যদি আমার পাশে থাকে তবে আমার বিগত দিনের কর্মের মূল্যায়ন করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের শেষ ঠিকানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা প্রতীক উপহার দেন তাহলে আমি আমার দলীয় নেতাকর্মী, ভোটার ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে মহিষাশুরা ইউনিয়নকে উন্নয়নের একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করব ইনশাআল্লাহ।
তবে দল যদি তাকে ছাড়া অন্য কাউকে যোগ্য মনে করে নৌকা প্রতীক উপহার দেন তাহলে তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাবেন বলেও জানান তিনি।
