নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর শিবপুরে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোরী ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বিলশরণ গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত কিশোরী স্থানীয় দড়িপুরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। এই ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীর মা রবিবার (১২ মার্চ) দুপুরে শিবপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এই ঘটনায় বিকেলে অভিযুক্ত ধর্ষক কাউছার মিয়া (২৮) ও তার পিতা তার আসাদ মিয়া (৫৫)কে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা একই গ্রামের বাসিন্দা।
নির্যাতিত শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বিলশরণ গ্রামের ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কাউছার মিয়ার নেতৃত্বে ৫ থেকে ৬ জনের একদল তরুণ। তাঁরা মেয়েটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
তবে ঘটনাটি ধর্ষণ নয়, এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ওই কিশোরী তার জবানবন্দিতে বলেছেন বলে জানান শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার। পাশাপাশি তাকে অচেতন অবস্থান নয় স্বাভাবিক অবস্থাতে তাকে উদ্ধার করেছেন। হয়তো ভয় পাওয়ার কারণে এমনটা ধারণা করেছেন উদ্ধারকারী এলাকাবাসী বলে জানান ওসি।
এদিকে উদ্ধারের পর ওই কিশোরীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএসও) ডা. ফারহানা আহম্মেদ তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
এই ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীর মা রবিবার দুপুরে শিবপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে যা বর্তমানে মামলার প্রক্রিয়াধীন। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত কাউছার মিয়া ও তার পিতা আসাদ মিয়াকে আটক করে।
জয়নগর ইউপি সদস্য শাহাদাৎ হোসেন জানান, কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে এনে ধর্ষন করা হয়েছে। পরে তাকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে বিষয়টি ধর্ষণ নয় ধর্ষণের চেষ্টা যা নির্যাতিতা কিশোরী নিয়ে থানায় এসে জবানবন্দিতে বলেছেন বলে জানান তিনি।