নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর শিবপুরের মহাসড়কের পাশে থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধারকৃত রুবেল মিয়া (২৫) ও জাহাঙ্গীর (৩০) এর হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল হত্যাকারী সোহেলকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি,৫২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (বডিতে ৩২০ পিস প্রাইভেটকারে ২০০ পিস), ১টি প্রাইভেটকারসহ রায়পুরা থানাধীন তার শ্বশুরবাড়ি অলিপুরা পশ্চিমপাড়া হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নরসিংদী জেলা পুলিশ।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয় পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বুধবার রাতে রুবেল মিয়া এক যুবক রেন্ট-এ-কারের চালক শাহজালালকে ফোন করে মাধবদীতে একটি ট্রিপ থাকার কথা জানান। পরে রুবেল, শাহজালাল ও জাহাঙ্গীর একত্রিত হন। তারা তিনজন রেন্ট-কারের চালক। তিনজনের সঙ্গে ওই রাতেও প্রাইভেটকার ছিল। মাধবদী না গিয়ে তারা রায়পুরার খলাপাড়া এলাকায় যায়। সেখানেই কৌশলে মূল হোতা সোহেল ও তার সহযোগীরা তিনটি প্রাইভেটকার ছিনতাই করে। এরপর মাদকের অর্থের ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা শ্বাসরোধ করে রুবেল ও জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে। শাহজালাল ও অন্যরা কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জোড়া খুনের পর বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে থাকেন সোহেল।
সিলেট থেকে মাদক এনে তারা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত। মাদক কারবারের আধিপত্য ও টাকা লেনদেনের বিরোধে খুনের ঘটনা ঘটেছে। মূল আসামিকে অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সোহেলের বিরুদ্ধে রায়পুরা ও ঢাকার বাড্ডা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। জোড়া খুনে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ, নরসিংদী।