নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরা থানা পুলিশের হেফাজতে সুজন মিয়া (৩৫) নামে হত্যা মামলার রিমান্ডে থাকা এক আসামীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বুধবার সকাল ১০ টার মধ্যে কোনো এক সময়ে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুজন মিয়া রায়পুরা উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের মামুদপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে এবং নিজ স্ত্রী লাভলী আক্তারের হত্যা মামলার আসামি।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে স্ত্রী লাভলী বেগমের সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে সুজন মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রী লাভলীকে পেটে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় নিহতের মা মালেকা বেগম নিজে বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা করলে সোমবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার আটরশি দরবার শরীফের পাশ থেকে নরসিংদী জেলা পুলিশের একটি টিম আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রাথমিকভাবে অপরাধের বিষয়ে স্বীকার করে পুলিশের কাছে ।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে রিমান্ড কালীন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতে রায়পুরা থানায় আনে হয় এবং সকালে থানা থেকে তার মরদেহ রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিষয়টি আত্মহত্যা বলে দাবী পুলিশের। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন জানান, সকাল পৌনে ১০ টার দিকে রায়পুরা থানা হাজতের ওয়াশরুমে তার পরনের শার্ট খুলে আত্মহত্যা করে। বিস্তারিত অনুসন্ধানে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।
এদিকে রায়পুরার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. খান মোহাম্মদ নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর
বলছে, কিভাবে সুজনের মৃত্যূ ঘটনা ঘটছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।