নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর রায়পুরায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাসহ সামাজিক গণমাধ্যম ফেইসবুকে সংবাদ প্রকাশ করে আসাবুদ্দীন (৫০) নামে এক মাটি ব্যবসায়ীকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। গত ১১ মে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টালসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডিতে “রায়পুরায় মাদকের জমজমাট কারবার” শিরোনাম সহ বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
আসাবুদ্দীন উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি এলাকায় মাটি ব্যবসা করেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটকালি পেশায়ও নাম লিখিয়েছেন। তাই এলাকায় তিনি আসাবুদ্দিন ঘটক নামেও অনেকের কাছেই বেশ পরিচিত।
এলাকাবাসী জানায়. আসাবুদ্দীন একজন মাটি ব্যবসায়ী তিনি বিভিন্ন মানুষের বাড়ী-ঘরসহ জায়গা জমি ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মানুষ জনের বিয়ের ঘটকালি করতে দেখা গেছে। প্রকাশিত সংবাদে রায়পুরার চরাঞ্চলে মাদক ব্যবসার মূলহোতা হিসেবে আসাবুদ্দীনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে । কিন্তু এলাকাবাসী বলেন , আসাবুদ্দীন মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত বা নিজে মাদক সেবন করেন এমনটা কেউ কোনদিন দেখেননি বা কারো মুখ থেকে শুনা যায়নি।
ওই এলাকার ৫ বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্য শওকত আলী মেম্বার বলেন, আমাদের এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে আসাবুদ্দীন জড়িত বা মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার যোগাযোগ আছে এমনটা কোনদিন শুনিনি। আমার জানা মতে তার বাড়ীর পাশ দিয়ে রাস্তার কাজ করার সময় ওই রাস্তার ঠিকাদারের সাথে আসাবুদ্দীনে একটু কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঠিকাদার পুলিশ দিয়ে আসাবুদ্দীনকে ধরিয়ে নেওয়ায় পরে তাকে ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। আর সে কিংবা তার পরিবারের লোক কোন পুলিশকে মারধোর করেছে এমনটা কোনও দিন শুনিনি। এসব অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার জানামতে, তাদের বাড়ীর তাদেরই আত্মীয় অন্য একটি পরিবার মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। ওই দ্বন্দ্বের জেরে তাকে মাদক ব্যবসায়ী সাঝিয়ে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে আমি ধারণা করছি।
মেজবা উদ্দিন নামে শ্রীনগর গ্রামের অপর এক ব্যক্তি বলেন, আসাবুদ্দীনকে ঘটক আসাবুদ্দীন নামে আমাদের এলাকার সবাই এক ডাকে চিনেন, তবে ঘটকালি পেশায় তিনি বেশীদিন নয় মূলত তার পেশা হচ্ছে মাটি ব্যবসা। এলাকায় মাদক ব্যবসা করেন বা মাদক সেবন করেন আমি তা শুনিনি। তাছাড়া তিনি তো এই গ্রামে থাকেনও না। বউ পোলাপান নিয়ে শশুর বাড়ীতেই থাকেন। তাদের বাড়ীতে শুধু তার দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা থাকেন। এলাকায় না থেকে কি করে মাদক ব্যবসা করছেন। এ বিষয় অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই না।
এদিকে রায়পুরা থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মফিজ নামে কখনো কোন এসআই ছিল না বা এ নামের কোন এস আই ওই অঞ্চলে হামলার শিকারও হয়নি।
এ ব্যাপারে আসাবুদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে পত্র-পত্রিকায় লিখে আমাকে যারা সামাজিক ভাবে হেয় করছে আমি তাদের নাম বলবো না। তবে তাদেরকে শ্রীনগর বাসী খুব ভাল করে চিনে। পত্র-পত্রিকায় লিখে হয়তো সামাজিক ভাবে ও আইন প্রযোগকারী সংস্থার কাছে আমাকে অপরাধী সাব্যস্থ করতে। আইন প্রযোগকারী সংস্থাসহ রায়পুরা থানা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে আমি বললো বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।