নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর রায়পুরায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তৌহিদ (২০) নামে এক যুবককের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে রাতেই ওই যুবককে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা রুজ্জু করা হয়।
উপজেলার মহেষপুর এলাকায় গত রবিবার দুপুরের দিকে এ ধর্ষনে ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে বলা হয়।
অভিযুক্ত তৌহিদ উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের দৌলতকান্দি গ্রামের রাশেদ মিয়ার ছেলে । ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরিক্ষার করানো হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত তৌহিদ নামে ওই যুবক ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে আসা যাওয়ার পথে প্রায় সময় কু-প্রস্তাবসহ সম্ভ্রমহানী করার চেষ্টা করে আসছিলো।
দুপুরে গরুর ঘাস কাটতে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির উত্তর পূর্ব পাশের জমিতে যাওয়ার সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ওই যুবক কিশোরীকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা কিশোরীকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে ধর্ষিতা কিশোরী বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সামনে কান্নকাটি করে ওই ঘটনার বর্ণনা দেয়।
ভুক্তভোগীর বাব বলেন, আমার মেয়েটার বুদ্ধি সুদ্ধি কম। ধর্ষক তৌহিদ আমার মেয়েকে প্রায়ই উত্তক্ত্য করতো। তার পরিবারকে জানানোর পরও প্রতিকার পাইনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে এমন জগন্য কাজটি করেছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতব্বরের সহায়তায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা করে। অন্যদিকে মানসম্মানের ভয়ে থানায় জেতে দেরি হয়েছে। অভিযুক্ত নরপশু শাস্তি দাবি করছি।
মামনার তদন্ত কর্মকর্তা রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক রকিবুল ইসলাম রাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পর পর রাতেই সেটিকে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।