নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদী আমিরগঞ্জে ট্রেনের সাথে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কা লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ রেল ক্রসিং এ ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুইজন, নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার একজন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো ৩ জনরে মধ্যে পথেই একজনের মৃত্যূসহ এ ঘটনায় মোট ৩ জন মারা যায়।
নিহতরা হলেন- নেত্রকোনার পূর্বধলার কালিহর মাইজপাড়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৫), ইব্রাহিম খানের ছেলে আনিস খান (২৪}. আবদুর রশিদের ছেলে সুজাত মিয়া (২৫) এবং ময়মনসিংহের তারাকান্দা এলাকার কালা মিয়ার ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম।
রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেট অভিমুখি দ্রুতগামী আন্ত:নগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আমিরগঞ্জ রেল ক্রসিং অতিক্রম করছিল। এসময় একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যান হঠাৎ রেল ক্রসিংয়ের ওপর চলে আসে এবং ট্রেনটির সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সুজাত মিয়া ও আনিস খান নামে দুই ব্যক্তি মারা যায়।
সাদ্দাম হোসাইন নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পিকআপে ড্রাইভারসহ মোট ৬ জন ছিলো।। ২ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। দূর্ঘটনাস্থল এই রেল ক্রসিংটিতে কোনো গেইটম্যান থাকেনা।
দূর্ঘটনার খবর পেয়ে বেলা দুইটার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে নিহত দুই জনের লাশ উদ্ধার করেন। পরে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। অপরদিকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীন মিয়া এবং ঢাকা মেডিকেল নেওয়ার পথে আনোয়ারুল নামে আরোও এক জনের মৃত্যু হয়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ইমায়েদুল জাহেদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পিকআপ ভ্যানটিতে চালকসহ ৬ জন একটি বেসরকারি কোম্পানীতে শ্রমিকের কাজ করেন। তারা মোবাইল ফোন কোম্পানীর টাওয়ার স্থাপনের মাটি পরীক্ষার কাজে ওই এলাকায় এসেছিলেন। কাজ শেষে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের সাথে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের লাশ বিনাময়না তদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
