আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা গোপন নথির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মামলাটি করা প্রসিকিউটরের নিয়োগ বেআইনিভাবে করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফ্লোরিডা জেলা বিচারক আইলিন ক্যানন। এরপরই মামলাটি বাতিল করে দেয়া হয়। কাতারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিচারক ক্যানন মামলাটি খারিজ করার জন্য আবেদনকারীর প্রস্তাব মঞ্জুর করেন। ফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা চারটি মামলার মধ্যে একটি বাতিল করে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা সবচেয়ে গুরুতর আইনি চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এটি ছিল অন্যতম।
ট্রাম্পের পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, স্পেশাল কাউন্সিল জ্যাক স্মিথের নিয়োগ সংবিধানের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ক্লজ লঙ্ঘন করেছে। তাকে বেআইনিভাবে বিচার বিভাগের পক্ষে টাকাও দেয়া হয়েছিল। গত মাসে এই মামলার শুনানির সময় স্মিথের দল যুক্তিটি জোরালোভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
স্থানীয় এক মিডিয়া হাউসের প্রতিবেদনে অনুসারে, বিচারক ক্যানন বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ কাউন্সিল স্মিথের বেআইনি নিয়োগ এবং তহবিলের ভিত্তিতে অভিযোগ খারিজ করার প্রস্তাব মঞ্জুর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্পেশাল কাউন্সিল স্মিথের নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ক্লজ লঙ্ঘণ করেছে। তাই অভিযোগটি খারিজ করা হয়েছে।
ট্রাম্পকে ২০২৩ সালের জুনে মিয়ামির একটি ফেডারাল গ্র্যান্ড জুরি অভিযুক্ত করেছিল। অফিস ছেড়ে যাওয়ার পর এবং সরকারের উপকরণ পুনরুদ্ধার করার সময় বাধা দেন তিনি। পরে হোয়াইট হাউস থেকে জাতীয় প্রতিরক্ষা নথি সরানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্প ও তার সহযোগী ওয়াল্ট নাউটা দুজনেই দোষী নন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, অবৈধভাবে রাখা নথিগুলো অতিথিদের তিনি দেখান। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ট্রাম্প। ফৌজদারি মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় তা ভোটের ময়দানে তার অবস্থানকে আরও মজবুত করবে। বরখাস্তের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হবেন স্মিথ।
গত শনিবার নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালান দুর্বৃত্ত। পাল্টা গুলিতে নিহত হন হামলাকারী। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় ট্রাম্প।