নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাধবদী থানার অন্তর্গত পাইকারচর ইউনিয়নে এক ব্যাবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম শিরোনামে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মাধবদী থানাধীন পাইকারচর ইউনিয়নের মেঘনা বাজারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,নাজাত ২৪ নিউজ পোর্টালে আমাকে, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ ও আমাদের ছেলেদের নাম জড়িয়ে ‘মাধবদী থানার অন্তর্গত পাইকারচর ইউনিয়নে এক ব্যাবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম’ শিরোনামে মে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ।
সংবাদে উল্লেখিত মিজানুর রহমান গ্রেফতারকৃত হারুন অর রশিদের মেয়ের জামাই এবং নিহত ব্যাবসায়ী হাজী আব্দুস সালাম হত্যা মামলার আসামি।
সে তার উপর হাতুড়ি পেটার যে নাটক সাজিয়েছে তা সত্যিই হাস্যকর। মেঘনা বাজার একটি জনবহুল এলাকা। এখানে প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে হাতুড়ি পেটা করলো অথচ কোন ব্যাবসায়ী বা কারো চোখে পড়লো না বিষয়টি খুবই আশ্চর্যের।
কিছুদিন পূর্বে হারুন মেম্বার, মোবারক, মিজানুর রহমান, আক্তার,আলী ও ফরহাদ সহ ১০/১২ জন মিলে আমার চাচাতো ভাই হাজী আব্দুস সালামকে গোপালদী বাজার যাওয়ার পথে মেরে ফেলে । এ ঘটনায় তাদের নাম উল্লেখসহ একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মিজানুর রহমান সেই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মূলত হত্যামালাটিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতেই সে এ মিথ্যা নাটকের অবতারণা করেছে। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেইসাথে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজন ও ব্যাবসায়ীদের সাথে আলাপ করলে সেখানে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তারা।
স্থানীয় পান ব্যাবসায়ী নাজিম উদ্দিন বলেন,তাকে আহত দেখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আমি সিএনজিতে তুলে দেই তবে এখানে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি।