মনিরুজ্জামান,নরসিংদীঃ
নরসিংদীর মাধবদীতে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাধবদী পৌরসভার বিরামপুরস্থ সুমন ডাইং এন্ড প্রিন্টিং কারখানায় নূরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সুমন ডাইং এন্ড প্রিন্টিং এর সার্বিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নূরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ও মাধবদী শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন (সাবেক মেম্বার) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নূরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নূরালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম ফয়সাল।
সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন (সাবেক মেম্বার) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে বলেন,বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেতাম না। তিনি হিংসা-বিদ্বেষ ও লোভ-লালসার ঊধ্বে থেকে দেশ মাতৃকার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন।তার দেখানো পথ ধরে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের আদর্শ।তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ১৯৬৯ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত সম্পৃক্ত হয়েছিলাম। আমার পিতা ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতেন।সেই সুবাদে আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সদস্য। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নরসিংদী থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।
পরবর্তীতে মাধবদী ইউনিয়ন বিভক্তির পর ১৯৮৬ সালের ২ অক্টোবর তৎকালীন নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়ার নির্দেশে তৎকালীন নরসিংদী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ার আমাকে নূরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব করে লিখিত চিঠির মাধ্যমে দায়িত্ব অর্পণ করলে আমি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে আমি মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি।শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও আপনাদের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করতে পারিনি বলে পুনরায় আপনাদের ডাকে গ্রামের ছেলে গ্রামে ফিরে এসেছি। স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘদিন নরসিংদী সদর আসনটি আওয়ামী লীগের বেদখনে ছিল। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্ষিতায় নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতীককে এ আসনের সাংসদ নির্বাচিত করা হয় সেই থেকে নজরুল ইসলাম হীরুর দক্ষ নেতৃত্বে আসনটি এখনো আমাদের দখলে রয়েছে। ভবিষ্যতে ও সাফল্যের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
আমি নেতা হতে নয় আপনাদের সেবক হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে জীবনের বাকি সময়টুকু পার করে দিতে চাই। আপনাদের ভালোবাসাই আমার চলার পাথেয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে যারা জানমাল দিয়ে সবসময় দলের পাশে থেকেছে তারা আজ অবহেলিত।নব্য আওয়ামীলীগার ও হাইব্রিড নেতাদের কারণে দলের ত্যাগী নেতারা আজ কোনঠাসা। দলের বৃহত্তর স্বার্থে ত্যাগী নেতাদের দলের দলীয় দায়িত্বে নিয়োজিত করার এখনই সময়।
এসময় আগামী নুরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে আনোয়ার হোসেনকে (সাবেক মেম্বার) নূরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করতে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মোঃ নিজাম উদ্দিন মাস্টার, জাকির হোসেন মেম্বার, জাকির হোসেন গান্ধী,এবাদ মেম্বার,নূরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ, মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তমিজ উদ্দিন,নূরুল হক মেম্বার, ইব্রাহিম বাবুল,করিম মেম্বারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।