নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর মাধবদীতে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরীহ এলাকাবাসীর উপর তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার (১৬ এপ্রিল) মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের গদাইরচর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী তাছলিমা বেগম তার উপর আরিফ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলার চিত্র তুলে ধরে মাধবদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, মাধবদী থানাধীন গদাইরচর গ্রামের সামসুল হক মুন্সির ছেলে মো. রনি মিয়া (৩৫), একই গ্রামের আমির আলীর ছেলে মো. বাচ্ছু (৪০) তার স্ত্রী মোসা. পারভীন (৩৫) ও রনি মিয়ার ছেলে মো. রাকিব (১৮)। অভিযুক্ত রনি মাধবদী থানাধীন নুরালাপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আরিফের ঘনিষ্ঠজন ও তার ছোট ভাই রাজিবের বিশ্বস্ত সহচর।
অভিযোগে বলা হয়, প্রায় বছরখানেক আগে মাধবদী থানাধীন গদাইরচর এলাকার বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগমের কাছ থেকে অভিযোগকারীনি ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের একবছর গত হলেও এখন পর্যন্ত তা বুঝিয়ে দেয়নি। ফলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গাছ থেকে আম পারাকে কেন্দ্র করে গত শবিবার (১৫ এপ্রিল) বাচ্চু মিয়া, তার স্ত্রী পারভীন বেগম, চাচাত শ্যালক রনি মিয়া ও রনির ছেলে রাকিবসহ দলবল নিয় হাতে কাঠের রুল ও লোহার রড নিয়ে অভিযোগকারী তাছলিমা বেগমের বাড়ীতে এসে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এসময় তাছলিমা বেগম বের হয়ে আসলে বাচ্চু মিয়ার নির্দেশে আরিফ বাহিনীর সদস্য রনি ও তার ছেলে রাকিব হাতে থাকা কাঠের রুল ও লোহার রড দিয়ে তাছলিমাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় এঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিবারের সদস্যদের প্রাণহানির হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়।
এব্যাপারে তাছলিমা বেগমের মেয়ে পাপিয়া আকতার বলেন, হামলার পর পর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে অবগত করি। চেয়ারম্যান আরিফ আগে আমার মায়ের চিকিৎসা করানোর কথা বলেছেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে পরে এর বিচার করবেন বলেছেন।
অভিযুক্ত রনির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ছাড়া আর কেউ সেখানে ছিলো না। অভিযোগে তাদেরকে মিথ্যা ও অন্যায় ভাবে জড়ানো হয়েছে। পরে চেয়ারম্যান আরিফের নির্দেশে বিভিন্ন ফল নিয়ে আমি তাদের বাড়ীতে যাই। এসময় উনার চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকাও দিয়ে আসি।
এব্যাপারে নুরালাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলে আসছে।ঘটনার পর বাদী পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। আমি কিছু টাকা দিয়ে ভালো ভাবে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেই। সেই সাথে তিনি সুস্থ হওয়ার পর এবিষয়ে সুবিচারের আশ্বাস দেই।
অভিযোগের বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি এ মূহুর্তে আমার স্মরণে নেই। ফাইল দেখে বলতে হবে। পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।