মনোহরদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর মনোহরদীতে ওরশ মাহফিলে যাওয়ার পথে ৮ম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের সৈয়দেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামী করে মনোহরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় মেহেদী হাসান (২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ ।আটককৃত যুবক একই ইউনিয়নের গোখলা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও ভূক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে মেহেদী হাসান নামে ওই যুবক উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি বাড়ীতে এসে ওই ছাত্রী তার মাকে জানায়। পরে ওই ছাত্রীর মা মেহেদীর বাড়ীতে গিয়ে তার বাবা-মার বিষয়টি জানায় এবং ভবিষ্যতে যাতে উত্যক্ত না করে তার জন্য ছেলেকে নিষেধ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মেহেদী।
সোমবার রাতে বাড়ীর কাছে পাঁচ পীরের মাজারে বার্ষিক ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন অংশ নেয়। রাত দেড়টার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ীতে আসে। পরে আবার ওরশে যাওয়ার পথে মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত আরও তিনজন তাঁর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক সৈয়দেরগাঁও বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে চারজন পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ শেষে ওই অবস্থা ছাত্রীটিকে রেখে পালিয়ে যায়। রাত আড়াইটার দিকে ধর্ষিতা ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ীতে ফিরে আসে এবং তার বাবা-মার কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন। পরে বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামীকে মনোহরদী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘প্রধান আসামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুইজনকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’