কলেজ’র শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত
মো. শামীম মিয়া. নরসিংদী
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। শুধু যে স্বৈরাচারী সরকার প্রধান পালিয়েছে তা নয় দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন অপকর্মের খেসারত থেকে বাঁচতে তাদের দোসররাও যে যেখানে ছিলো সেখান থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। তেমনই একজন নরসিংদীর বেলাব উপজেলার সরকারি হোসেন আলী কলেজের অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তী। ওইদিন তিনিও তার কর্মস্থল থেকে নিজেকে আত্মগোপন করেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় সমান অভিযোগ। অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তী’র দুর্নীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বারবার প্রমাণিত হওয়ার পরেও অদৃশ্য শক্তির বলয়ে দাবিয়ে বেড়িয়েছেন পুরো কলেজ। সরকার পতনের সাথে সাথে তারও টনক নড়ে। তার সেই অদৃশ্য ফিনিশ পাখির মত উড়ে চলে গেছে এমনটা বুঝতে পেরে পালিয়ে যান কর্মস্থল ছেড়ে। সেই সাথে সকলের সাথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেন ।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, সরকারি হোসেন আলী কলেজটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে গত ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট তারিখে কলেজটি জাতীকরণের মধ্যদিয়ে নতুন ভাবে পথচলা করে। বর্তমানে কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক শাখায় ৩০১ জন, বিজ্ঞান শাখায় ২৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং ডিগ্রী পর্যায়ে প্রথম বর্ষে ৩৬ জন, দ্বিতীয় বর্ষে ৫৬ জন, তৃতীয় বর্ষে ৫৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়াও কলেজটিতে ৩৯ জন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ম্যানেজ করে সুকৌশলে ২০১০ সালে বীরেশ্বর চক্রবর্তী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ ও পরে রাতের আঁধারে ২০১৩ সালে অবৈধ কমিটি গঠন করে নিয়োগ গোপনীয়ভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের সেশন ফি, মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকার রশিদ না কেটেই নিয়ম বহির্ভুত ভাবে অর্থআদায় করেছেন। প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের বিল ভাউচারে কলেজ’র আভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির স্বাক্ষর দেওয়ার বিধান থাকলেও তিনি কারো স্বাক্ষরের তোয়াক্কা না করে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যান। আয় ব্যয়ের হিসাব নিকাশের জন্য কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির স্বাক্ষর তো দূরের কথা কমিটি গঠন করার বিধান থাকলেও কোন অডিট কমিটি গঠন না করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে তিনি একাই সকল কার্যক্রম করেছেন। এছাড়াও তিনি কলেজে না এসে বাড়িতে থেকেই কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। সপ্তাহে দু’একদিন অল্প সময়ের জন্য কলেজে তার উপস্থিতি ও আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলা, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব এবং দুর্নীতির কারণে কলেজের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তৎকালীন বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া’র নির্দেশে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়াও উপরোক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে অডিট কমিটি কলেজ’র আয়-ব্যয়ের ব্যাপক গড়মিল পায়। শুধু তাই নয় ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৬ শত ৭৯ টাকা ঘাটতি পায় যা অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করে বলে প্রমাণিত।
পরে অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তীর কৃত অনিয়মের বিবরণ উল্লেখ করে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষক প্রতিনিধিগণ প্রতিষ্ঠানের আত্মসাৎকৃত অর্থ অতি দ্রুত কলেজ তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে বললে তিনি অর্থ আত্মসাৎ’র দায় স্বীকার-পূর্বক টাকা দ্রুত কলেজ তহবিলে জমা দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী তিনি ৩ লাখ টাকা কলেজ ফান্ডে জমা দিলেও বাকি ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬শত ৭৯ টাকা এখনও ফেরত দেন নি।
কলেজটি সরকারিকরনের আদেশ জারির পর সভাপতি হিসেবে পর্যায়ক্রমে তৎকালীন বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা ২০১৯ সালে, শামীমা শারমিন ২০২১ সালে ও মো: আক্তার হোসেন শাহিন ২০২২ সালে বিভিন্ন সময়ে অধ্যক্ষের দুর্নীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভযোগ তদন্ত কমিটির মধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পান এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ পত্রও পাঠান। কিন্তু অধ্যক্ষের পিছনে কোন এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করায় এত দুর্নীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাৎ প্রমানিত হওয়ার পরেও স্ব-কর্মস্থলে, স্ব-পদে বহাল রয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর একই দিনে তিনিও তার কর্মস্থল ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর থেকে কলেজের কারো সাথে তার কোন যোগাযোগ হয়নি। তিনি সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কলেজের EIN নাম্বার পাসওয়ার্ড, রেজুলেশন খাতা, ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য এবং কলেজ পরিচালনার কোন কিছু কাউকে বুঝিয়ে না দিয়ে যাওয়ায় কলেজের কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে বীরেশ্বর চক্রবর্তী নরসিংদীর বেলাব উপজেলার সরকারি হোসেন আলী কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পরে রাতের আঁধারে ২০১৩ সালে অবৈধভাবে কমিটি গঠন করে সেই কমিটির মাধ্যমে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে শিক্ষাবোর্ডের বিধি বিধান অনুসরণ না করা, কলেজ’র সার্বিক পরিস্থিতিতে কোন শিক্ষকের সাথে পরামর্শ না করে একক সিদ্ধান্তে কাজ করা, দাপ্তরিক কাজে অবহেলা, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে উঠে।
পরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তৎকালীন বেলাব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সরকারি হোসেন আলী কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শামীমা শারমিনের হস্তক্ষেপে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারী কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০ ডিসেম্বর ২০২০ হতে অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তীর বেতন স্থগিত রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক বেলাব শাখার ব্যবস্থাপককে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজটিকে স্বাভাবিকভাবে পরিচালনার বৃহত্তর স্বার্থে বর্তমান অধ্যক্ষর স্থলে কলেজের যোগ্য শিক্ষককে ডিডিওশিপ বা একাডেমির দায়িত্ব প্রদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী আবেদন করা হয়।
কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কলেজটি জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ। এটার অনেক সুনাম রয়েছে। কিন্তু বীরেশ্বর চক্রবর্তী অবৈধভাবে নিয়োগের মাধ্যমে অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকেই কলেজের পতন শুরু হয়। তিনি কলেজে নিয়মিত আসতেন না, আসলেও দুপুর দুইটার পর আসতেন কিছুক্ষণ পর চলে যেতেন। তিনি কলেজের সকল সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতেন। ওনার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কলেজের ফলাফল খারাপ হতে থাকে। ফলে কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে যায়। তিনি শিক্ষদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করতেন। কলেজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ম করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে অব্যহতি দিয়ে নতুন অধ্যক্ষের মাধ্যমে কলেজের ঐতিহ্য ফিরে আসুক।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক শফিকুর রহমান বলেন, বীরেশ্বর চক্রবর্তী কলেজের জুনিয়র শিক্ষক হয়েও ক্ষমতা প্রদর্শন করে অবৈধভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন। স্বৈরাচারী কায়দায় কলেজ পরিচালনা করতেন। কলেজে নামমাত্র কমিটি থাকলেও কোন মিটিং না করেই সকল সিদ্ধান্ত নিতেন। ওনি কলেজের টাকা আত্বসাৎ করে তার কিছু টাকা ফেরতও দিয়েছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিকবার তদন্ত করে তার দোষ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার কারণে তিনি আরও বেপরোয়াভাবে দুর্নীতি ও ক্ষমতা দেখিয়ে কলেজ পরিচালনা করেছেন। এই দুর্নীর্তিবাজ অধ্যক্ষকে অবিলম্বে সরিয়ে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে কলেজের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।
কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জিয়াউর রহমান বলেন, কলেজের উদ্ধুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমি অ্যাকাডেমিক কাজ পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও কলেজের কোন আর্থিক ক্ষমতা পাইনি। যার কারণে আমি দৈনন্দিন খরচ, পরীক্ষা পরিচালনাসহ কলেজ পরিচালনায় নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।
জিয়াউর রহমান আরও বলেন, অধ্যক্ষ পলাতক থাকায় অফিসের আলমারি তালাবদ্ধ, সকল জরুরি কাগজপত্র ও কলেজের পাসওয়ার্ড ওনার কাছে রয়েছে। যার কারণে কলেজের কোন জরুরি কাজ করা যাচ্ছে না। পাসওয়ার্ড স্থানীয় একটা কম্পিউটারের দোকানে দেওয়া রয়েছে, সেখান থেকে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। যার কারণে আমরা ও ছাত্রছাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের বিচারের দাবি জানাচ্ছি, পাশাপাশি কলেজ পরিচালনার স্বার্থে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ বা আমাকে আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।
কলেজের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে পলাতক অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মাউশির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছেন। তিনি কোন অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেন নাই। কলেজের ক্যাশিয়ার না থাকায় তিনি একবছর হিসাবকার্য দেখভাল করেছেন। হিসাবে অদক্ষতার কারণে কিছু ভুল হয়েছে কিন্তু তিনি কোনও টাকা সরিয়ে নেননি। আর কলেজে কোন কম্পিউটার না থাকায় তিনি দোকান থেকে কাজ করিয়েছেন, কিন্তু পাসওয়ার্ড কাউকে সরবরাহ করেন নাই।
বীরেশ্বর চক্রবর্তী আরও বলেন, যদি দুর্নীতি প্রমাণিত হতো, আমি অধ্যক্ষ থাকতে পারতাম না, আমাকে অপসারণ করা হতো কিন্তু কিছুই করা হয়নি। শুধু তৎকালীন ইউএনও এর সঙ্গে ভুল বোঝাবোঝির কারণে বেতনের ব্যাংক হিসাব স্টপ পেমেন্টে করে দিছেন। ফলে নতুন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বেতন-ভাতা নিচ্ছি। বর্তমানে মেডিকেল ছুটিতে আছি বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে বর্তমান বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারি হোসেন আলী কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো: আব্দুল করিম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ, বদলি, বরখাস্ত সকল সিদ্ধান্ত মাউশি নিয়ে থাকেন। কলেজের অধ্যক্ষ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধ্যক্ষ প্রয়োজন মর্মে মাউশি বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এখন কি কারণে তারা অধ্যক্ষ দিচ্ছেন না, আমার জানা নাই। সেই সাথে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা আলম জনান, আমরা ইচ্ছে করলেই হঠাৎ কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সরকারি হোসেন আলী কলেজের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সার্বিক প্রতিবেদন মাউশি এর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


