বর্তমান ও সাবেক দুই এমপিতে একে অপরকে “দোষারোপ”

মো. মাহবুব আলম

আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নরসিংদীর শিবপুরের রাজনীতি। খুন  আর অস্ত্রের ঝনঝনানি অশান্ত করে তুলেছে শিবপুরকে। শুরুটা হয় ১৯৮৬ সালের ২৮ এপ্রিল। সেদিন তৎকালীন এমপি রবিউল আউয়াল খান কিরনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। রাজনীতির কারণে শিবপুরের আরেক জনপ্রিয় নেতা, বাঘাব ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনকে হত্যা করা হয় ২০০৪ সালে। শুধু রাজনীতির কারণেই আরও একাধিক স্থানীয় নেতাকে নিতহ হতে হয়েছে প্রতিপক্ষের হাতে। সেই ধারাবাহিকতা এখন অনেকটাই প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে  শিবপুরের রাজনীতিতে। গেলো ২৫ ফেব্রুয়ারি শিবপুরের বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিজ বাসায় গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

হারুনুর রশিদ খান শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি রবিউল আউয়াল খান কিরনের ভাই।

শিবপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অন্যতম নিয়ন্ত্রক হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করার ঘটনায় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে । কিন্তু এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা কলকাঠি নেড়েছে বা কারা জড়িত তাদের প্রধান উদ্দেশ্য কি তা না জানা গেলেও এ ঘটনার সাথে যে রাজনৈতিক চাল জড়িত তা ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। দৃশ্যত এই ঘটনার সাথে পুটিয়া বাজারের ইজারার টেন্ডার সংক্রান্ত ঝামেলা সামনে এলেও এর পেছনে যে বড় ধরনের রাজনৈতিক চাল জড়িত তা নিয়ে সন্দেহের কোন সুযোগ নেই।

এদিকে গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর থেকেই হারুনুর রশিদ খানের খোঁজ খবর নিতে নিয়মিত হাসপাতালে যাচ্ছেন সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। অপরদিকে আহত উপজেলা চেয়ারম‍্যানকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন বর্তমান এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনও।  হারুন খান গুলিবিদ্ধের  ঘটনায় যে আরিফের নাম আলোচনায় এসেছে সে বর্তমান এমপি মোহনের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। আর এ বিষয়টিকে সামনে এনে সাবেক এমপি আঙুল তুলছেন বর্তমান এমপির দিকে।

অপরদিকে গত ৩ মার্চ শিবপুরে এক প্রতিবাদ সভায় এমপি মোহন আঙুল তুললেন সাবেক এমপি সিরাজ মোল্লার দিকে। বর্তমান এমপির দাবি সিরাজ মোল্লার ইশারায় এমনটি হতে পারে। সাবেক এমপির নাম সরাসরি না নিলেও ইঙ্গিতে সাবেক এমপিকেই বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এমপি মোহন।