নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্লট কেনার পরও রেজিস্ট্রি দলিল বুঝে না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ন্যাশনাল প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট (এনপিআই)। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক তাজবীর সজীব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বর্তমানে এনপিআইকে এ প্লটগুলো থেকে উৎখাত করার জন্য পাঁয়তারা শুরু করেছে প্রতারক গোষ্ঠী।
সংবাদ সম্মেলনে এনপিআই-এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. ইমদাদুল হক কাজী বলেন, এনপিআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে তা রাজধানীর মহাখালীতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু করোনায় লকডাউনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় সর্ব সিদ্ধান্তক্রমে এনপিআইয়ের জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সে লক্ষ্যে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ২০ নম্বর সেক্টরের ৪০১/বি রোডে রাজউক থেকে বরাদ্দকৃত ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৪ নম্বর প্লটসহ কয়েকটি প্লট কেনার জন্য দালাল মো. সালাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপর দ্রুত সেখানে ভবন এবং স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু প্লটের রেজিস্ট্রি ও দলিল বুঝে পায়নি কর্তৃপক্ষ। উল্টো মো. সালাউদ্দিন এবং সালাউদ্দিনের পিতা জহির উদ্দিনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন এনপিআইয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন পড়ছে হুমকিতে।
ইমদাদুল হক কাজী বলেন, মো. সালাউদ্দিন এবং সালাউদ্দিনের পিতা জহির উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময়ে এনপিআই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রাজউক কর্তৃক বরাদ্দকৃত প্লট এবং জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্লট এবং জমি বিক্রয় বাবদ ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক চেক, ব্যাংক ডিপোজিট, পে অর্ডারের মাধ্যমে এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নগদ টাকা বাবদ মো. সালাউদ্দিন মোট সাত কোটি ৫৮ লাখ নয় হাজার ৮২০ টাকা গ্রহণ করেছেন।
এখন পর্যন্ত প্লটগুলোতে প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ বাবদ বিভিন্ন সময়ে মোট এক কোটি ৭০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট নয় কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮২০ টাকা জমি ও ভবন নির্মাণ বাবদ খরচ করার পরও সালাউদ্দিন জমি এবং প্লট রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পরিবর্তে এনপিআইকে এ প্লটগুলো থেকে উৎখাত করার জন্য পাঁয়তারা শুরু করেছে।