নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নরসিংদীর মাধবদী থানাধীন আমদিয়া ইউনিয়নে প্রবাসির স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছে মিজানুর রহমান নামে এক লম্পট ধনির দুলাল।
আটককৃত মিজানুর রহমান আমদিয়া ইউনিয়নের কান্দাইল খেতাপাড়া এলাকার ফজলুল হক’র ছেলে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে কান্দাইল বেপাড়িপাড়া এলাকার মৃত সেরু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, কান্দাইল খেতাপাড়া এলাকার ফজলুল হক’র ছেলে লম্পট মিজানের জ্বালায় এলাকার বউ বেটিরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সে এ পর্যন্ত অনেক মেয়ের সর্বনাশ করাসহ অনেক প্রবাসীর সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে। সে বহু নারীতে আসক্ত। প্রথমে সে সম্পর্ক করে একটি বিয়ে করেছিল কিন্তু তার স্বভাবের কারণে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পরে আবার পরকীয়া করে এক সন্তানের এক জননীকে বিয়ে করে। বর্তমানে সে দুই সন্তানের জনক। সে একের পর এক অপকর্ম করে গেলেও তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এলাকাবাসী আরো বলেন, কান্দাইল বেপাড়িপাড়া এলাকার মৃত সেরু মিয়ার ছেলে প্রবাসী নয়নের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে সে নয়নের স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গেলে এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এ লম্পট ও দুশ্চরিত্র মিজানের কারণে এলাকার সকলকে বাহিরের লোকের কাছে ছোট হতে হয় তাই তার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মিজানের বাড়িতে গেলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
মিজান ও তার পিতা ফজলুল হক’র মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রবাসী নয়নের বাড়িতে গেলে তারা বলেন, এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।
সুতরাং তার সাথে কথা না বলে এব্যাপারে আমরা কোন কথা বলতে পারব না।
আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত শনিবার রাত ১২ টার দিকে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী প্রবাসী নয়নের স্ত্রীর সাথে মিজানের আটকের বিষয়ে আমাকে জানান। পরে সেখান থেকে যে কোন ভাবে মিজানকে ছাড়িয়ে আনতে অনুরোধ করলে আমি বাধ্য হয়ে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনি। এব্যাপারে কয়েকজন আলেমের সাথে যোগাযোগ করে বিচারের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ইতিপূর্বে ও মিজান একইভাবে আরো একজন প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তার সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।