নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।শনিবার পঁচিশে জুন সেতুর মাওয়া প্রান্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মণ্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সেতু উদ্বোধনে কালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিলেন সাবেক রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, সেতু নির্মাণের নেপথ্যের কারীগর কারা নির্যাতিত সাবেকসচিব সেতু বিভাগ । জার্মানীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নরসিংদীর কৃতি সন্তান কর্ম বীর জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূইয়া । তিনি বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সুদুর জার্মান থেকে উড়ে আসেন ।
বেলা পৌনে বারোটার দিকে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্রদান করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বারোটার দিকে মাওয়া প্রান্তে একটি উদ্বোধনী ফলক উম্মোচন করেন তিনি।
উদ্বোধনের আগে মাওয়া প্রান্তে এক সুধী সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ”শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও এই সেতু নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ।অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু- কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে আছে। এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয় এ সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ।”
এর মধ্যে দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হয়ে যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা।
তবে সবার ব্যবহারের জন্য রবিবার সকাল থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে।
দ্বিতল এই সেতুতে রেল চলাচলের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে রেল সংযোগের কাজ এখনো শেষ হয়নি।