নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদী বিআরটিএ বর্তমানে দালাদের আতুর ঘর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দালাল ছাড়া চলে সাধারন মানুষের বিভিন্ন কাজর্ক্রম।এরই মধ্যে বিআরটি নরসিংদী কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। সিএনজিচালিত অটোরিকশা,মটর সাইকেল ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিবন্ধনে অনিয়ম, দালালদের উত্তপাত্ত ও বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে দুদক গাজীপুর-নরসিংদী সমন্বিত কার্যালয় এ অভিযান পরিচালনা করেছেন। তিনজনকে আটক করে পরে তাদের মুছেলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নরসিংদী বিআরটিএ কম্পিউটার অপারেটর মো: শরিফুল আলম ভূইয়াকেসহ কয়েক জনকে দুদক অভিসে তলব করা হয়েছে।
দুদকের অভিযান সূত্রে জানা গিয়েছে, নরসিংদী জেলা শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার,মটর সাইকেল ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও বাড়তি অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযানে নামে দুদক। অভিযানে দুদক সদস্যরা সাধারণ মানুষের মতো সেবাপ্রার্থী হিসেবে সেবাগ্রহণের জন্য কার্যালয়ে আসে।
পরে দুদকের অন্যসদস্যরা এসে অভিযান পরিচালনা করে অফিসের ভিতর বিআরটিএ নিবন্ধনের ফরম ও নগদ টাকাসহ মিলটন,আ.রহিমসহ তিনজন দালালকে আটক করে পরে তাদের মুছেলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন দুদক গাজীপুর-নরসিংদী সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুশিউর রহমান সংঙ্গীয় ফোর্সসহ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিআরটিএ,নরসিংদী সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো:নাসিম হায়দার, দুদুকের রুটিন মাফিক অভিযান হিসেবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা অভিযানে এসেছেন বলে জানিয়েছেন দুদুক কর্মকর্তা।অভিযানে বিভিন্ন নথি ও সামগ্রিক বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তারা বেশকিছু অনিয়মের ক্লু পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে অফিসিয়ালি কোনো মন্তব্য করতে চাননি দুদুক সহকারী পরিচালক।
বিআরটিএ সেবাগ্রহীতা ও নামপ্রকাশে অনইচ্ছুক একাধিক মানুষ বলেন, বিআটিএর কম্পিউটার অপারেট শফিকুল আলম ওনার আশ্রয়-প্রশ্রয় একাধিক দালাল সাধারণ মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে টাকা নিচ্ছে এবং একটি ভাগ শফিকুল পাচ্ছেন। অদৃশ্য শক্তি বলে কম্পিউটার অপারেটর শফিকুল দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত বিআরটি নিজ দায়িত্বে বহাল রয়েছে ।
যেখানে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন বছরের বেশি থাকা যায় না, সেখানে উনি পাঁচ বছর কিভাবে রয়েছে এটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। এছাড়াও তার বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ কম্পিউটার অপারেটর শফিকুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি আমি জানিনা। আমাকে দুদক তলব করেছে, আমি যাবো। দীর্ঘদিন যাবত বিআরটিতে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তাকে রাখা হয়েছে। কে বা কারা বা কোন কাগজে বলে রাখা হয়েছে সেটার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারিনি।