নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদী বয়েজ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নরসিংদী শহরতলীর চিনিশপুর স্কুল মাঠে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ইভেন্টের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়া বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ভূঁইয়া।
স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মো. বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিনিসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান তুহিন ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সহ সভাপতি মুফতি আবু তালহা।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী বয়েজ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু ছিদ্দিক (মিলন)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, খেলাধুলা ছাত্র-ছাত্রীদের মন ও মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে সহায়তা। সুস্থ মস্তিষ্ক ছাত্রের জন্য খুবই জরুরী। মন ও মস্তিষ্ক ভালো থাকলেই ভাল ছাত্র হওয়া যায়।
মো. মনির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা মাদক সেবনসহ
শিক্ষাজীবনেই বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি খেলাধুলার মনোনিবেশ করে তাহলে ওই সকল অনৈতিক কর্মকান্ডে থেকে তারা বিরত থাকতে পারে।
পরে প্রধান অতিথিসহ আগত অন্যান্য অতিথিরা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, চিনিসপুরসহ আশেপাশের এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল অত্র এলাকায় একটি ভালো ও উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক। এই চিন্তা ধারাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৪ সালে শহরতলীর চিনিশপুর এলাকায় নরসিংদী বয়েজ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা পর থেকে এ যাবত কাল পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আশানুরোপ ফলাফল করে অত্র প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে আনছে। বিগত বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা এই তিনটি বিভাগ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করেন। সেই সাথে পাঁচ জন শিক্ষার্থী গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ১৩ জন।