নরসিংদী প্রতিনিধি
উৎসবমুখর পরিবেশে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরকারী আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এসএসসি ৯৫’ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ মে) বিদ্যালয় মাঠে এ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিভিন্ন এলাকার ৯৫’ ব্যাচের প্রায় ৭০ জন সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ এ মিলন মেলায় অংশ নেয়। সকাল ৮ থেকে শুরু হওয়া এ মিলন মেলায় দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখর ছিল বিদ্যাপীঠের মাঠ। দীর্ঘ ২৭ বছর পর বিদ্যালয় চত্বরে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে সরাসরি দেখতে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ে। অনেকে আনন্দে মেতে উঠেন।
সরকারী আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলন মেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শিবলী আহম্মেদ।
৯৫’ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন সোহেলের সঞ্চলনায় স্মৃতিচার মূলক বক্তব্য রাখেন, সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মো. বেলায়েত হোসেন ও ৭৩’ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী জিএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, মো. মোশারফ হোসেন, মো. এহতাশামুল হক, মো. নজরুল ইসলাম মৃধা, নিখিল চন্দ্র সূত্রধর, মো. নজরুল ইসলাম, মো. আলী হোসেন ও আব্দুল হামিদ।
সৃজনশীল নানান আযোজন শেষে মধ্যাহ্ন বিরতি দেওয়া হয়। বিরতি শেষে বিভিন্ন খেলাধুলা, চিত্রাংকন, আবৃত্তি, ও গানে গানে বন্ধুরা একে অপরের সাথে আনন্দে মেতে ওঠে। বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরো আয়োজনে আনে ভিন্ন মাত্রা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা ইফতেকার আহম্মেদ রুবেল বলেন, ‘আমরা বিগত ২৭ বছর আগে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর এতদিন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিলাম। এই অনুষ্ঠানে সব বন্ধুকে এক সাথে পেয়ে আবেগাপ্লুত এবং ভীষণ আনন্দিত। এজন্য আমাদের ব্যাচের ফেসবুক গ্রুপের এডমিন প্যানেল এবং উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
অনুষ্ঠান সম্পর্কে ৯৫’ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ১৯৯৫ ব্যাচ আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ফেসবুক গ্রুপের এডমিন মামুনুর রশিদ সুমন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমাদের সকল বন্ধুরা একসাথে হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা ফেসবুক গ্রুপটি খুলি। পরে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করলেও কখনও একসাথে হতে পারিনি। সবাই একসাথে করতেই আমাদের এই মিলন মেলার আয়োজন। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের প্রাণে বিদ্যাপীঠের ৯৫’ ব্যাচের বন্ধুরা যাতে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’