আবুল কাশেম, নরসিংদী
নরসিংদীর চরাঞ্চলে নিখোঁজের একদিন পর মেঘনার শাখা নদীতে রাবেয়া বেগম নামে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর থেকে ওই বৃদ্ধা নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার ১৬ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলা আলোকবালী ইউনিয়নের পাগলা বাড়ির ঘাটে ওই বৃদ্ধা মহিলার মরদেহটি ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশে খবর দিলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে হয়ে করিমপুর নৌপুলিশের উপস্থিতিতে নরসিংদী সদর মড়েল থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।তবে নিহতের
তবে বৃদ্ধা ওই নারীর মৃত্যূর বিষয়টি নিছক কোন দূর্ঘটনা নয় এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করেন তার স্বজনরা।
নিহত বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম আলোকবালী ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের আওয়াল মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে আলোকবালী ইউনিয়নের পাগলা বাড়ির ঘাটের পাশে বৃদ্ধা এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। মরদেহ ভাসতে থাকার খবরে নিহতের মেয়ে রাণী বেগমও ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং তার মাকে সনাক্ত করে। পরে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করলে নরসিংদী মডে থানা এসে করিমপুর নৌপুলিশে খবর পাঠায়। পরে নৌপুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের মেয়ে রানী বেগম বলেন, আমার মাকে গতকাল দুপুরের পর থেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আজ যখন নদীতে মরদেহ ভাসতে থাকার কথা শুনেছি সাথে সাথে এখানে ছুটে আমার মায়ের নিথর দেহ দেখতে পাই। তবে আমার মায়ের মৃত্যূর বিষয়টি নিছক কোন ঘটনা হয়। এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার মাকে মেরে ফেলেছে।আমি তার সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয় আলোকবালী ইউপি সদস্য আমান উল্লাহ সরকার ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি গলাবাড়ির ঘাটের কাছে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে বিষয়টি আমাকে জানায়।
নরসিংদী মডেল থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) লুৎফর হোসেন বলেন, বৃদ্ধার মৃত্যূর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পর রিপোর্ট হাতে পেলেই বলা যাবে আসলে কি এটা অপমৃত্যূ না হত্যা।