নিজস্ব প্রতিবেদক
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নরসিংদীতে আ’লীগ নেতা আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন সরকারের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর সেনাদের স্মরণ এবং আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় নরসিংদীর শেরেবাংলা ক্লাব প্রাঙ্গনে এ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
নরসিংদী শহর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, শিক্ষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত কুমার সাহা।
শহর তাঁতী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের সভাপতি ড. ফারহানা জেসমিন মুন, স্বাধীনতা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য সুভাষ সাহা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি ( কমান্ডার) বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমেদ, বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সবুজ আলী, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সাহা, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মিয়া মোহাম্মদ মঞ্জুর, নজরপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল সিরাজী, জেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সাবেক সভাপতি মাসুদ করিম রাজা সরকার, জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব হিরু সরকার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রঞ্জিত সাহা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আগামীদিনের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হলে নরসিংদীতে বর্তমান সময়ে আশরাফ হোসেন সরকারের কোন বিকল্প নেই। নরসিংদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এ জেলার নেতৃত্ব ধরে রাখতে হলে আমার মতে আশরাফ সরকারের মত অপেক্ষাকৃত তরুন ও যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই অনষ্ঠানের সভাপতি আশরাফ সরকার নরসিংদীতে অতুলনীয় একজন ব্যক্তি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তায কাছ থেকে প্রতিনিয়ত সন্মান ও মূল্যায়িত হচ্ছেন। তার এই কর্মকান্ডে আমি খুশি। তার মেধা ও তারুণ্যের শক্তি পাশে আমি আছি এবং থাকবো। শুধু আমি কেন? আশরাফ সরকারের কথা পূর্ববর্তী বক্তারাও বলে গেছেন। আমি তাদের সাথে আমিও একমত পোষণ করছি।
তিনি আরও বলেন আজ স্বাধীনতা দিবস। সরকার অফিস আদালত ও স্কুল কলেজ ছাড়া বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। আজকের যিনি আয়োজক আশরাফ সরকার এর কথা পূর্ববর্তী বক্তারাই বলে গেছেন। পূর্ববতী বক্তাগণের সাথে আমিও একমত
সভাপতির বক্তব্যে আশরাফ সরকার বলেন. আজ ২৬শে মার্চ। ঐত্যিহ ও গৌরবময় মহান স্বাধীনতা দিবস। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলার জন্ম হতো না। আমরা পরাধীনতায় অবরুদ্ধ থাকতাম। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে পাক-হানাদার বাহিনীর পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশের স্থান পেতনা। ওইদিন রেসকোর্স বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যেমে গোটা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তার কল্যাণেই আজ আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলতে পারি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা পেয়েছি।। তিনি চিরঞ্জীব।
আশরাফ সরকার বলেন, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। আমি আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা মমতাময়ী মা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রাজনীতি করি। তার নির্দেশ মোতাবেক দলীয় ও জাতীয় সবগুলো অনুষ্ঠান পালন করেছি। পদ-পদবী বড় কথা নয়, আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শবান কর্মী ও মাননীয় নেত্রীর নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই দলকে সুসংগঠিত করা যায়। আমার কোন পদ-পদবী নেই আমার আছে নেত্রীর আস্থা ও ভালোবাসা এবং তৃণমূল নেতা- কর্মীদের শক্তিই আমার রাজনৈতিক প্রেরণা।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, তারুণ্যের অহংকার ও বর্তমান সময়োপযোগী নেতা আশরাফ হোসেন সরকারের মাধ্যমে আমরা তথা নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখা সম্ভব। আমরা আশরাফ সরকারকে আগামীদিনে নরসিংদী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চাই।
এর আগে দলীয় নেতাকর্মীরা জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ডপার্টি নিয়ে সভাস্হলে এসে উপস্থিত হয়। সভার শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠ, জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশন ও স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীন যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করেন। এরপরই মঞ্চের পাশে খোলা জায়গায় রং-বেরঙের আতশবাজি ফুটিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার যুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্মা মাগফেরত কামনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন স্থানীয় দারুলউলুম দত্ত পাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইমাম মাওলানা হাফেজ আসাদুজ্জামান।
