নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নরসিংদী সদর উপজেলার চৌয়া এলাকায় স্ত্রী-সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসী আফসানা।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া বারোটায় অভিযোগকারীর স্বামী প্রতারক ইমরানের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগকারী আফসানা (২৪) ঢাকার ক্ষিলক্ষেত নামাপাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দিন ও মৃত রাহেলা বেগমের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব থাকাকালীন সময়ে নরসিংদী সদর উপজেলার চৌয়া এলাকার আউয়ালের ছেলে প্রতারক এমরানের সাথে আমার পরিচয়, পরিচয় থেকে প্রণয় ও বিয়ে হয়।
বিয়ের পূর্বে এমরান তার দেশের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে দেশের স্ত্রীকে বোন পরিচয় দিয়ে আমার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ রক্ষা করে। পরে আমাকে তার স্ত্রী সুবর্ণা, সুবর্ণার ভাই সুন্দর আলী, মা মনোয়ারা ও ভগ্নিপতি রহিম মিলে প্রতারণা করে ব্যাংকের মাধ্যমে সাড়ে পনের লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেয় যার সমস্ত প্রমান আমার কাছে রয়েছে । এরই মধ্যে আমার গর্ভবতী হয়ে পড়লে গত তিনমাস পূর্বে দেশে ফিরে ইমরানের বাড়িতে উঠি ।
সেখানে যাওয়ার পর ইমরান, তার স্ত্রী সুবর্ণা, শাশুড়ি মনোয়ারা ও ভায়রা রহিম মিলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে আমি এলাকাবাসীর সহায়তায় সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রান্ত ও ইউপি সদস্য তুহিন মেম্বারের স্মরণাপন্ন হলে তারা তিনদিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। বর্তমানে ইমরান, তার স্ত্রী সুবর্ণা, শাশুড়ি সেলিনা ও ভায়রা রহিম সবাই পলাতক রয়েছে। ইমরান আমার টাকা পয়সা সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় আমি আমার গর্ভের সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, প্রশাসন ও বিচারকদের দ্বারস্থ হয়েও সঠিক বিচার পাইনি।
তাই বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের মাধ্যমে প্রতারক ইমরান, তার স্ত্রী সুবর্ণা, শাশুড়ি সেলিনা সহ তার দোসরদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। সেইসাথে তার কষ্টার্জিত সাড়ে পনের লক্ষ টাকা ফেরত প্রদান করা সহ গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয় ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।