নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীতে সাবেক ইউপি সদস্য সুজিত সূত্রধরের হত্যার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম।
এর আগে বুধবার রাতেই জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নিহত সুজিত মেম্বারের দোকানের বার্নিশ মিস্ত্রী ও সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের বুদিয়ামারা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো. মাসুম (২৬), একই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে শিমুল মাহমুদ (২২) ও নবীপুর গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৩)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, এক সপ্তাহ আগে সুজিত মেম্বারের ছেলে সুজন সূত্রধরের সাথে তার দোকানের বার্নিশ মিস্ত্রী মাসুমের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজন মাসুমকে থাপ্পড় মারে। এই ঘটনাটি মিমাংসা করার জন্য বুধবার রাতে সুজিত সূত্রধর ও তার ছেলে সুজন সূত্রধর দোকানে অবস্থান করছিল। এসময় বার্নিশ মিস্ত্রী মাসুমের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল দোকানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুজিত মেম্বারের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। এসময় পিতাকে বাঁচাতে ছেলে সুজন সূত্রধর ও দোকানের কর্মচারী দ্বীন মোহাম্মদ এগিয়ে এলে তাদেরকে মারপিট করে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকেউদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজিত সূত্রধরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাতেই জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় সুজিত মেম্বারের সাথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর জায়গা, নির্বাচন সংক্রান্ত ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্বে থেকে অনেকের বিরোধ চলে আসছিলো। ওই সব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদী শহরতলীর হাজীপুরের কাঠ বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাবেক ইউপি সদস্য ও কাঠ ব্যবসায়ী সুজিত সূত্রধরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হন তার ছেলে সুজন সূত্রধর (২৭) ও ঘটনাস্থলে থাকা দ্বীন ইসলাম দীনা (৫৫) নামের দুজন। নিহত সুজিত সূত্রধর হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।