আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ
ফলো আপ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীতে ২২ বছরের এক যুবতিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দুদিন আটক রেখে ধর্ষণ,ভিডিও চিত্র ধারণ ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় মামলার ৭দিন গত হলেও ধর্ষক আল-আমিনসহ অন্যান্য আসামীদের মধ্য থেকে কাউকেই এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার না করায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।। অথচ উক্ত মামলার ৩ জন আসামীকেই প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভিকটিম তার কর্মক্ষেত্র ন্যাশনাল প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পথে নরসিংদী শহরের উপজেলা মসজিদের সামনের গলি দিয়ে ঢুকার মুখে পিছন দিক থেকে তার মুখ চেপে ধরে ৩/৪ জন ছেলে তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নেয়। সেখান থেকে তাকে নরসিংদীর পশ্চিম কান্দাপাড়াা এলাকার ব্রিটিশ বাংলা হাসপাতালের পশ্চিমে একটি গলি ভিতর মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে তাকে শারীরিক মেলামেশা করতে বলে। এতে সে রাজি না হওয়ায় আল-আমিন তাকে শারীরিক নির্যাতন করে টানা ২ দিন বদ্ধ ঘরে আটকে রাখে এবং তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করে। সে তার পাশবিকতা থেকে রক্ষা পেতে ডাক চিৎকার করলেও বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় কেউ এগিয়ে আসেনি। শনিবার(২ এপ্রিল) সকালে আল আমিন বাহিরে গেলে ভোর ৭ টার দিকে ওই ধর্ষীতা কোন রকমে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসত সক্ষম হয়।
শনিবার সকালে ওই যুবতি কোন রকমে ছাড়া পেয়ে নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এসে হাজির হয়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও শারীরিক চিত্র সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
এঘটনাটি তাৎক্ষণিক ভাবে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠানকে অবগত করেন নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মো: শাহাদাৎ হোসেন রাজু। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পরামর্শে মামলা দায়েরের জন্য ধর্ষীতা ওই যুবতিকে ক্লাবে অপর এক নারী সদস্যকে সাথে দিয়ে থানায় পাঠানো হয়।
পরে এ ঘটনায় ধর্ষীতা নিজে বাদী হয়ে শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়ার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ধর্ষক আল আমিনসহ আরও দুই জনের নাম উল্লেখ পূর্বক নারী ও শিশু নির্যাতনের আইনে একটি মামলা দায়ের করে। অপর দুজন আসামি হলো, আল আমিন(২), ও হৃদয়।
ইতোমধ্যেই ধর্ষীতার ডাক্তারী পরিক্ষাসহ মামলার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর ৭ দিন গত হলে ও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক এলাকাবাসী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন যে কেন তাদের আইনে আওতায় আনা হচ্ছেনা ? তাদের ক্ষমতা কি এতোই বেশি যে প্রশাসনের লোকজন তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না!
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার এসআই মনিরুজ্জামান’র যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামি ধরার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এব্যাপারে আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। আপনাদের কাছে আসামিদের ব্যাপারে যদি কোন তথ্য থাকে তাহলে আমাদেরকে জানাবেন আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আসামিকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসব। তাছাড়া মামলার বাদী যদি আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত থাকে তাহলে আমাদেরকে জানাতে বলবেন আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।