নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ মধ্যপাড়া (হিন্দুপাড়া) গ্রামের শ্রী শ্রী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরসহ জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে বর্তমান সভাপতি দীলিপ চন্দ্র সূত্রধরের বিরুদ্ধে।
সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের কিত্ন কমিটির সভাপতি সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, দীলিপ চন্দ্র সূত্রধর জোরপূর্বক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মন্দির কমিটির সদস্যসহ নিরীহ গ্রামবাসীদের দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ভয়- ভীতি দেখাচ্ছে মন্দিরের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তার কথা অমান্য করলে সে প্রাণনাশের হুমকি ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা হিন্দুপাড়ার প্রায় একশত পরিবারের একমাত্র মন্দিরটি হারানোর অবস্থায়। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় চেয়ারম্যান নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশে বসা হলেও সে কাউকে মান্য করছে না। সে মন্দিরের সভাপতি থাকে মন্দির ফান্ডের অর্থ বিভিন্নভাবে নানা অজুহাত দেখিয়ে আত্মসাৎ করছে। এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির প্রায় ৯০ ভাগ সদস্য তার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। সে কাউকে কোনো কিছুর জবাবদিহি করে না। এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুব্রত কুমার দাসসহ রায়পুরা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদেও কমিটির নেতারা তাকে একাধিকবার বোঝানোর পরও সে কাহারো কথাই রাখেন নি।
প
শ্রী শ্রী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে সাধারণ সম্পাদক রাজন দেবনাথ বলেন, এই গ্রামে হিন্দু ধর্মেরলোকদের শারদীয় দূর্গাপূজা, একনাম সংকীর্ত্তন, শীতলা পূজা ও অন্যান্য পূজা অর্চনা করার জন্য উক্ত গ্রামে একই জায়গায় নিকটতম স্থানে একটি দূর্গা মন্দির, একটি নাট মন্দির, শীতলা মন্দির ও শিব মন্দির রয়েছে। এক মন্দিরকে কেন্দ্র করে। মন্দিরে একনাম সংকীর্ত্তনের সময় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৬-৭টি সংকীর্ত্তনের দল আসে। প্রতিটি দলে ১০-১২ জন করে মোট ৭০-৮০ জন লোকের থাকার ব্যবস্থা করতে হয় এবং এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। লোকদের থাকার ঘর, শৌচালয়, বসার স্থান ও ভক্তদের থাকার স্থানের জন্য অনেক জায়গার প্রয়োজন। যেখানে সভাপতি নিজেই জায়গা ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা সেখানে উনি জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। জোড় করে মন্দিরের জায়গা দখল করছে। আস্তে আস্তে সর্ম্পন্ন মন্দিরটি ওনি দখল করে নিবে।
অভিযুক্ত সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি দীলিপ চন্দ্র সূত্রধর বলেন, “আমি জায়গার মালিক থেকে উক্ত জায়গাটি কিনেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা ছড়ানো হচ্ছে”
এবিষয়ে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার, মন্দিরের জায়গা দখলের বিষয় নিয়ে বিচার শালিস হয়েছে। দুই পক্ষের কথাই শুনেছি। যেভাবেই হোক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।