নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে করা মামলার আসামী গ্রেফতার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ১১। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১১’র নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন। এর আগে রবিবার দুপুরে নরসিংদী শহরের বৌয়াকুড় স্টেশন রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সাগর আহম্মেদ (২৭) কুমিল্লা জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বাইয়রা এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে নরসিংদী শহরের বৌয়াকুড় মহল্লার আলমগীরের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এ সময় তার কাছ থেকে ১ টি মোবাইল, ২ টি সীম কার্ড ও ধর্ষণের ভিডিও হস্তগত করা হয়।
র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার খন্দকার মো শামীম হোসেন জানান, সাগর আহম্মেদ নরসিংদীতে বসবাস করে ২২ বছর বয়সী এমন এক তরুণীর সাথে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে সে ওই তরুণীর সাথে মিথ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারির পর থেকে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দুটি নগ্ন ভিডিও তৈরি করে। এরপর যৌন সম্পর্ক না রাখলে নগ্ন ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। পরে ফেইসবুকে একটি ভুয়া আইডি তৈরি করে ওই তরুণীর কিছু নগ্ন ছবি আপলোড করে। ফোনে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সাগর আহম্মেদ। শহরের বৌয়াকুড় মহল্লার সারোয়ারের মালিনাধীন ৫ম তলার চতুর্থ তলায় তার চাচাতো বোনের স্বামীর ভাড়া বাসায় নিয়ে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় সাগর। এসব ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ওই তরুণী।
এই ঘটনায় নির্যাতিতা তরুনী বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় মামলা করার পর আসামী সাগরকে গ্রেফতার করে র্যাব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শামীম হোসেন বলেন, অনেক মেয়ের সাথে আসামী সাগরের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। নির্যাতিতা তরুণী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ভাবছিলেন না। মামলা করার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে শহরের স্টেশন রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।