নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘরে রেখে যাওয়া ২০ হাজার টাকাই হয়তো মেয়ের মৃত্যূর কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল এমনটা ধারনা নরসিংদীর পৌর শহরের সাটিরপাড়া এলাকায় দূর্বৃত্তদের হাতে নিহত গৃহবধূ মানসুরার পিতা মজিবুর । শনিবার বাদ এশা মেয়ের জানাজার শেষে রাঙ্গামাটি ঈদগাঁ মাঠে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে জোনাকী টেলিভিশন প্রতিবেদকের কাছে এমনটাই ব্যাক্ত করেন হতভাগ্য পিতা মজিবুর রহমান।
তিনি জানান, বূহস্পতিবার মেয়ের জামাতা মশিউর রহমান হিমেল ছোট ভাইয়ের বিদেশের যাওয়ার টাকা জমা দেওয়ার জন্য ঘরে রাখা ৫০ হাজার টাকা সাথে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ী বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুরে যান। এর আগে আরো টাকা লাগতে পারে এমনটা ভেবে শশুর বাড়ীর লোকজনের কাছে ২০ হাজার টাকা হাওলাত চেয়ে পাঠান। সে টাকা বৃহস্পতিবার দুপুরে হিমেল কলেজে থাকাকালীন সময়ে মানসুরার ভাই সবুজ বাসায় এসে বোনের কাছে দিয়ে যায়। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে রাতের বেলা গ্রামের বাড়ী যাওয়া সমোচিন হবেনা ভেবে সেই ২০ হাজার টাকা স্ত্রীর কাছেই রেখে যান। যাওয়ার সময় বাসার গেইটের সামনে এসে স্ত্রী মানছুরাকে ওই টাকা ভালভাবে রাখার জন্য বলেন এবং তিনি এসে রবিবার ব্যাংক খুললে তার একাউন্টে জমা দিবেন বলে স্ত্রীকে জানান। এসময় বাসার সামনে দুটি ছেলে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন। তারাই টাকার জন্য তার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা পোষণ করেন তিনি। ওই ছেলেদেরকে প্রায় সময় ওই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বলে তার মেয়ের জামাই তাকে বলেছেন বলে মজিবুর জানান।
দূর্বৃত্তরা ঘরে স্টীলের আলমারি ভেঙ্গে এতে রাখা মানসুরা স্বর্ণা অলংকারসহ তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের ধূল, নাক ফুল নিয়ে যায় বলে মশিউরের শশুর মজিবুরকে জানান।
মেয়ের মৃত্যূর একদিন পরে এমন ধারণা পোষণ করার কারণ জানতে চাওয়া হলে মজিবুর জানান, এ বিষয়গুলো তার জানা ছিল না। আজ শনিবার মেয়ের জামাই মশিউরের সাথে দেখা করতে ও কথা বলতে থানায় গেলে সে তাকে এ কথাগুলো জানান বলে তিনি বলেন।
তিনি জোনাকী টেলিভিশনের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তা ব্যক্তি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, যারা আমার নিরীহ মেয়েকে হত্যা করেছে এবং যারা আমার ৪ বছরের নাতনিকে শিশু বয়সে মাতৃহারা করেছে যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে আইনের আওতায় এনে হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ব্যবস্থা করার জন্য জোড় দাবী জানাচ্ছি।
এসময় রাঙ্গামাটি ঈদগাঁ মাঠে তার সাথে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, মশিউরে বাবা আলী আজগর মেম্বার, মশিউরের মামা রাশেদ মিয়া ও মজিবুরের সাব কন্ট্রাকটর আমিনুল মিস্ত্রি।
উল্লেখ্য শুক্রবার নরসিংদী পৌর শহেরের সাটিরপাড়া এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ীতে ঢুকে সাটিরপাড়া কালী কুমার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’র রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক মসিউর রহমান হিমেলের স্ত্রী মানসুরা আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা।