নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে নয়টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (এইচএসসি) পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এবার সর্বোচ্চ ফল বা জিপিএ-৫ অর্জন করা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন।
গণভবন থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।এরপর দুপুর ১২টায় সারা দেশে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৬ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৯৯ জন শিক্ষার্থী।
রাজশাহী বোর্ডের পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী। যশোর বোর্ডের পাসের হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডের পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী।
কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বোর্ডের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭২০ জন শিক্ষার্থী। সিলেট বোর্ডের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩১ জন শিক্ষার্থী।
বরিশাল বোর্ডের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৭১ জন শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭১ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী।
এবছর ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করায় পাশের হার দিকে দিয়ে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে যশোর বোর্ড। এবং সর্ব নিম্ন স্থানে আছেন চট্টগ্রাম বোর্ড। এ বোর্ডের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭২ জন শিক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন। এদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন।
মহামারি পরিস্থিতিতে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা না নেওয়ায় বাংলা, ইংরেজির মত আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন করা হয়েছে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।