রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভ্লাদিভোস্তকের ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের প্লেনারি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বক্তব্যে তিনি বলেন, কিয়েভ তার পশ্চিমা মিত্রদের সাথে মিলে ইস্তানবুল চুক্তির ভিত্তিতে সংকট সমাধানের আশা করছে। তারা হয়ত মনে করছে রাশিয়া কৌশলগত পরাজয় বরন করবে। কিন্তু আপাদত তেমনটি ভাবার কোন কারণ নেই।
পুতিন বলেন, আমরা কিয়েভ সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির সব শর্ত প্রায় পূরণ করেছিলাম। আমরা সবকিছুর বিষয়ে সম্মত হয়েছিলাম। এমনকি ইউক্রেনের প্রধান আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া, যিনি এখনও ভেরখোভনা রাডায় শাসক দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, এই চুক্তিগুলো অনুমোদনও করেছিলেন। [খবর তাসের।[
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, রশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন-কিছু বিবরণ তখনও চূড়ান্ত করা বাকি ছিল, কিন্তু সমগ্র চুক্তিটি ছিল বৈধ । সবকিছুর নথি যখন প্রস্তুত করা হয়ে গিয়েছিল এমন সময়ে ইউক্রেনে আশেন বরিস জনসন (তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী)। তিনি সবকিছু ভন্ডুল করে দিয়ে ইউক্রেনীয়দের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উস্কে দেন। যুদ্ধ এখনও চলছে, আর ইউক্রেন হয়ত চিন্তা করছে রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করা যাবে। কিন্তু আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এই প্রচেষ্টা বরাবরের মতই ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে বলেছে, যদি তারা ওই সময়ে চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করত এবং তাদের পশ্চিমা মিত্রদের পরামর্শ না শুনত তবে যুদ্ধ অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। তবে তারা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে এবং এর ফল এখন টের পাচ্ছে।
রাশিয়া কখনোই ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা করতে পিছিয়ে যায়নি। পুতিন জোর দিয়ে বলেন, তবে কিছু অস্পষ্ট শর্তের ভিত্তিতে নয়, বরং ইস্তানবুল চুক্তির ভিত্তিতেই করতে হবে।
পুতিন আরও বলেন, আমরা কি তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত? আমরা কখনোই আলোচনা থেকে পিছিয়ে যাইনি। কিন্তু কোনো অবাস্তব শর্তের ভিত্তিতে আমরা আলোচনা করবো না, বরং ইস্তানবুলে স্বাক্ষরিত নথির ভিত্তিতেই হবে যে কোন আলোচনা।