নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাধবদীর আমদিয়ায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার গৃহনির্মাণে বাঁধা ও চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটার সময় নরসিংদীর মাধবদী থানাধীন আমদিয়া ইউনিয়নের মাথরা এলাকার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আজিম উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে মোঃ আমির হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আজিম উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারী অনুদানকৃত একটি পাকা ঘর বরাদ্দ পান।
তিনি তার জীবদ্দশায় সরকারী অনুদানের পাকা ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এমতাবস্থায় গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) একই এলাকার ওমর আলীর ছেলে নজরুল (৪৫), তাজুল ইসলাম (৩০), নজরুল ইসলামের ছেলে আরাফাত (২২) অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের একটি দল নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে গৃহনির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এতে আমার পিতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে স্ট্রোক করেন।
পরে গত রবিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন । আমার পিতার মৃত্যুর পর ও চাঁদাবাজরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। আমার পিতার মৃত্যুর পর ও তারা চাঁদার দাবিতে আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করে আসছে। এতে করে একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য হয়ে ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এমতাবস্থায় আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে আমি প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের পরিবারের নিরাপত্তার পাশাপাশি বিভিন্ন ভয়ভীতি ও চাঁদা চেয়ে আমার পিতাকে যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে বাধ্য করেছে সেই সকল চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জাই এবং আমার পিতার পাওয়া সরকারী অনুদানের গৃহনির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করার দাবি জানাই ।
এঘটনায় নিহতের ছেলে আমির হোসেন বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে জানতে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রকিবুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে ও তিনি রিসিভ করেননি।